হোম > সারা দেশ > নাটোর

নাটোরে ২৯ গভীর নলকূপের মধ্যে ২৫টিই অকেজো

ইমাম হাসান মুক্তি, লালপুর (নাটোর)

নাটোরের লালপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে স্থাপন করা হয় ২৯টি গভীর নলকূপ। সেগুলোর মধ্যে ২৫টিই দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। এতে ফসলে সেচ দিতে কৃষকের ভোগান্তি ও খরচ বেড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে অগভীর নলকূপে ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ জোন নাটোরের বড়াইগ্রাম অফিস থেকে জানা গেছে, বিএডিসির সমন্বিত সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় লালপুরের বিভিন্ন এলাকায় সেচ-সংকট দূর করতে দুই কিউসেক ক্ষমতাসম্পন্ন ২৯টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। প্রতিটির বার্ষিক ভাড়া ছিল ২৩ হাজার ৫০০ টাকা। ১৯৭০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পাম্পের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাড়া বকেয়াসহ বিভিন্ন কারণে ২৫টি পাম্প বন্ধ হয়ে যায়। এগুলোর মধ্যে ৫টি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। বর্তমান মাত্র ৪টি চালু রয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাসে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।

উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের উধনপাড়ার শাফায়েত উল্লাহ বলেন, অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রকল্পের ড্রাইভার ও ম্যানেজার সেচের বেশি মূল্য নির্ধারণ করতেন। আদায় করা অতিরিক্ত অর্থ নিজেরাই ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিতেন। দেখা যেত গভীর নলকূপের চেয়ে ডিজেলচালিত শ্যালো ব্যবহারে লাভবান হতেন চাষিরা। তদারকি কমিটি, কর্মকর্তা, ড্রাইভার ও ম্যানেজারের কারণেই সরকারের এই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।

গত শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের উধনপাড়া মাঠে পরিত্যক্ত ছোট একটি ঘর। ঘরের ভেতরে-বাইরে গজিয়েছে গাছ, ময়লার স্তূপ। সেচপাম্পগুলো অকেজো পড়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে যন্ত্রাংশ।

কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা গভীর নলকূপগুলো কোনো কাজে আসছে না। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেয়নি। এখন পানিসংকটে হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত পড়ে আছে।

লালপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রবিন আহমেদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানির স্তর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গড়ে ৩৪ ফুট নিচে নেমে গেছে। কোথাও যেন সুপেয় পানির সংকট না থাকে, এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, কৃষকেরা অগভীর নলকূপ স্থাপন করে চাষাবাদ করায় খরচ বাড়ছে। শুষ্ক মৌসুমে সেচ-সংকট দেখা দিচ্ছে।

বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ জোন বড়াইগ্রামের সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, লালপুর ও বড়াইগ্রামে ৮৯টি সেচপাম্প রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৫০টি চালু আছে। আটটি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণ করেছে। বাকি ৩১টি চালুর চেষ্টা চলছে।

উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এবং লালপুরের ইউএনও শারমিন আখতার বলেন, ‘কৃষকেরা আবেদন করলে সেচ কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দ এনে পাম্পগুলো চালুর ব্যবস্থা করা হবে। সেচ কমিটির পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’

নাটোরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

শীতের পিঠায় জীবনের ভার টানছেন মা-মেয়ে

সুদান হামলা: মিশন যাত্রার ১ মাস ৮ দিনের মাথায় প্রাণ গেল শান্তিরক্ষী মাসুদের, পরিবারে মাতম

বড়াইগ্রামে মুখ থেঁতলানো ও চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার

হজের খরচ ১০০ ডলার কমাতে বিমানকে চিঠি দিয়েছে সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা

নাটোরের চার আসন: সরব বিএনপি, মরিয়া জামায়াত

মোহাম্মদপুর ট্র্যাজেডি: নাটোরে পৌঁছাল মা-মেয়ের মরদেহ, দুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল চাবি

পৌরসভার বর্জ্যে নদী পরিণত হচ্ছে নর্দমায়

গুড় তৈরিতে কাপড়ের রং ব্যবহার, এক লাখ টাকা জরিমানা

ধানুড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়: চার বছরে ১০৬ শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ