নাটোরের বড়াইগ্রামে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষ আবুল আছর মো. শফিউজ্জামানকে কলেজে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগকে মিথ্যা দাবি করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন জোনাইল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম রাজিবুল করিম। আজ সকালে জোনাইল ডিগ্রি কলেজে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাজিবুল করিম বলেন, দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সাবেক অধ্যক্ষ শফিউজ্জামানকে কলেজের গভর্নিং বডি সাময়িক বরখাস্ত করে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার শফিউজ্জামান নিজেকে প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। মূলত তাঁর অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রাজিবুল করিম বলেন, ‘২০১৫ সাল থেকে আমি উপাধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করে এখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন মকছেদুর রহমান। তিনি নাটোর কোর্টে ওকালতি পেশায় নিযুক্ত আছেন।’ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, ‘কলেজের শিক্ষক, ছাত্র, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও এলাকার জনসাধারণ আন্দোলনের মাধ্যমে কলেজের আয়-ব্যয়ের হিসাব দাবি করে। শফিউজ্জামান হিসাব না দেওয়ার জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখে ভোরে তাঁর ব্যবহৃত কক্ষ খুলে হিসাব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যান। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে। এখানে মব সৃষ্টির কোনো ঘটনা ঘটে নাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজটির প্রভাষক মাহমুদুল হাসান, আসাদুজ্জামান, আসাদুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে শফিউজ্জামান বলেন, ‘সব তথ্যপ্রমাণসহ আমি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছি। আমাকে অন্যায়ভাবে তারা কলেজে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।’