নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৩০ বিঘা জমির বরজ পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় বরজ রক্ষা করতে গিয়ে এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার বাগডোব মণ্ডলপাড়ায় এসব বরজ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
পাশের জমিতে লাগা অগ্নিকাণ্ড থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহত কৃষকের নাম জামাত আলী (৬০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হামিদ নামের স্থানীয় বাসিন্দা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাগডোব মণ্ডলপাড়ায় নিজাম উদ্দিন নামের এক কৃষক আগুন দিয়ে তাঁর জমির মরা শিমগাছ পোড়াচ্ছিলেন। এ সময় বাতাসে ওই আগুন পাশের একটি বরজে লেগে যায়। ফাঁকা জায়গায় দমকা হাওয়ায় মুহূর্তেই আগুন পাশাপাশি থাকা অন্তত ২৬টি বরজে ছড়িয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশেই বড়াল নদেও পানি না থাকায় লোকজন আগুন নেভাতে পারেননি। খবর পেয়ে বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে আসেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর রাস্তা না থাকায় এবং পানির উৎস না থাকায় মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে ৩০ বিঘা জমির বরজ ভস্মীভূত হয়।’
আব্দুল হামিদ আরও বলেন, ‘এ সময় একটি বরজে কাজ করছিলেন জামাত আলী নামের এক কৃষিশ্রমিক। আগুনের শিখায় ভয় পেয়ে তিনি বরজ থেকে বের হতে পারছিলেন না। পরে তাঁর ছেলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। ততক্ষণে তিনি আগুনে কিছুটা আহত হন। স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে বাড়িতে নেওয়া হয়।’
তাৎক্ষণিক আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিন আলী বলেন, ‘আগুনে অন্তত ২৬ জন পানচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁর মধ্যে আব্দুল হামিদের সাড়ে ৪ বিঘা, জামাত আলীর সোয়া বিঘা, আতাউরের দেড় বিঘা, মুস্তাকের দেড় বিঘা, আরশেদের দেড় বিঘা ও লতিফ, আবেদ, মারফত আলীর এক বিঘা করে জমির বরজ পুড়ে গেছে।’
এ দিকে শিমের জমিতে আগুন দেওয়ার কাজে জড়িত নিজাম উদ্দিন এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।