নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্র মো. মামুন হোসেনকে (২২) বিয়ের আট মাসের মাথায় কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করেছে নাটোর থানার পুলিশ।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এ তথ্য জানিয়েছেন নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ।
নাছিম আহমেদ বলেন, ‘প্রকৃত কী ঘটেছে তা জানার জন্য মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। সেজন্য তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওসি নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘বলারীপাড়ার ভাড়া বাড়ির সামনে মানুষের উপস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাড়িতেই মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনই গ্রেপ্তার বা আটক বলার সময় হয়নি।’
এর আগে আজ রোববার সকাল ৭টার দিকে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহারের মরদেহ শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজি অফিসে গিয়ে কলেজশিক্ষক খাইরুন নাহার ও ছাত্র মো. মামুন হোসেন গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। জানাজানি হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
খাইরুন নাহার গুরুদাসপুরের খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।