চলমান লকডাউনে নরসিংদীর বেলাবতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। পেটের তাগিদে যারা দিনকে রাত করে জীবিকা নির্বাহ করছে, আজ সেই কর্মজীবী মানুষগুলো কর্মহীন। করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে না উঠতেই দ্বিতীয় ধাক্কায় যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে তাদের রঙিন জীবন। তাঁরা আর সামাল দিতে পারছে না সংসার নামক অভিশপ্ত ঘানি। করোনায় প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্তে রেকর্ড ভাঙছে। এমতাবস্থায় মানুষের জীবন কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলতে পারছে না কেউই।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও কঠিন অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে জনজীবনকে। দরিদ্র মানুষের হার বেড়েই চলছে। মহামারির প্রথম ও দ্বিতীয় আঘাতের কারণে মানুষের আয় কমেছে কয়েক গুন। ছোট বড় সব ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থাও খারাপ। করোনার আগে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা বেড়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় আঘাতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। করোনায় রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য জেলার মতোই এর প্রভাব পড়ছে নরসিংদী জেলাতেও।
বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের পাহাড় উজিলাব গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমিকদের সর্দার মো. চান মিয়া বলেন, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছি। আমরা কেউ কাজে যেতে পারছি না। কাজ না থাকায় পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। সরকারের থকেও কোনো সাহায্যে পাচ্ছি না। আশা করি সরকার আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াবে।
বেলাব উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা বলেন, এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষেরা অনেক দিন ধরে কর্মহীন। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মাস্টার মনে করেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এসব মানুষদের খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রাখাই প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।