নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুমন খলিফা (৩৫) হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সুমনের স্ত্রী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করেন।
আজ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান মুন্সী তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুমনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২২), তাঁর পরকীয়া প্রেমিক মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফ (৪২), তাঁদের সহযোগী আব্দুর রহমান (২৮), বিল্লাল হোসেন (৫৮), আলমগীর হাওলাদার (৪৫) ও নান্নু মিয়া (৫৫)।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এই ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি ও একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এসপি মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, নিহত সুমনের স্ত্রী সংগীতশিল্পী সোনিয়ার পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। সোনিয়ার সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামি মেহেদী হাসান ওরফে ইউসুফের অবৈধ সম্পর্কের কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এর জেরে সোনিয়া ও ইউসুফ মিলে সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসপি আরও জানান, পরিকল্পনা মোতাবেক গত রোববার রাতে পঞ্চবটি মেথরখোলা এলাকায় গানের অনুষ্ঠানে স্ত্রীকে রেখে বের হওয়ার পর সুমনকে ক্লাব থেকে ডেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে চর কাশীপুরে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাঁকে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার সকালে ফতুল্লার কাশীপুরের মধ্য নরসিংপুরে সুমনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মন্টু খলিফার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বসবাস করতেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত সুমনের বাবা মো. মন্টু খলিফা (৭০) বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন।