নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আসামিরা। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার এক আসামি। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসির আরাফাতের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামি ফয়সাল ওরফে বাদশাহ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুক্তার আশরাফ। জবানবন্দি ও তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আসামিরা। শিশুটি চিৎকার দিলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। আসামি তিনজনই মাদকাসক্ত।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে পুলিশ, পিবিআই ও র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে এই মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মানিক চানের ছেলে ফয়সাল ওরফে বাদশা (২৯), একই এলাকার আহসান মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৪০) এবং জালাল হোসেনের ছেলে ইমন (২৫)। তাঁদের মধ্যে ফয়সাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর ফয়সালের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
গত সোমবার ভোরে বন্দরের একটি এলাকা থেকে শিশু আলিফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে এক দিন নিখোঁজ ছিল সে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার মা গত মঙ্গলবার বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত রোববার বিকেল ৪টার দিকে শিশুটি খেলাধুলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। সন্ধ্যার পরও বাসায় না ফেরায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরদিন সকাল ৬টার দিকে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে আলিফার লাশ উদ্ধারের খবর পান স্বজনেরা।