জীবিত আছেন আব্দুল মৌলু। কিন্তু কাগজপত্রে ছিলেন মৃত। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক আব্দুল মৌলুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাগজপত্রে তাঁকে জীবিত করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিবেশী লোকজনের মতো নেত্রকোনার মদন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মৌলুর জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত মদন পৌর নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত। এমন খবরে এলাকার লোকজনও হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে বিষয়টি যাচাই করতে মদন নির্বাচন অফিসে যান আব্দুল মৌলু। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন। এরপর থেকেই নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে আবেদন নিয়ে ঘুরে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। দীর্ঘদিনেও নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে না পাড়ায় রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন আব্দুল মৌলু।
এ নিয়ে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘জানি না নিজেকে জীবিত করতে আর কত দিন ঘুরতে হবে আমার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন কাগজপত্র ঠিক করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুল মৌলু বলেন, ‘আমি জীবিত থেকেও কাগজপত্রে মৃত ছিলাম। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এখন আমি কাগজপত্রে জীবিত হয়েছি। এর জন্য আমি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে মদন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হামিদ ইকবাল বলেন, সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমি তাৎক্ষণিক বিষয়টি সমাধান করেছি। এখন থেকে আব্দুল মৌলু কাগজপত্রে জীবিত আছেন।