হোম > সারা দেশ > ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে জমে উঠেছে কোরবানির অনলাইন হাট

ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ এগ্রো ফার্ম। ছবি: আজকের পত্রিকা

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ময়মনসিংহে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর অনলাইন হাট। জেলার বিভিন্ন খামারে চলছে গরু মোটাতাজাকরণ ও পরিচর্যার শেষ প্রস্তুতি। একাধিক খামার ইতিমধ্যে অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু করেছে। খামারিরা জানিয়েছেন, এবার ক্রেতাদের চাহিদায় রয়েছে মাঝারি আকারের গরু। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশুর চিকিৎসাসেবাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির ঈদে ময়মনসিংহে পশুর চাহিদা ১ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৯টি। প্রস্তুত হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৮টি পশু। এর মধ্যে রয়েছে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ। ফলে জেলায় ৫৮ হাজার ৯৯টি পশু উদ্বৃত্ত থাকছে। জেলার ১৩টি উপজেলায় খামারির সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৩৫। কোরবানির জন্য ১৫২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। বড় হাটগুলোতে ৫২টি মেডিকেল টিম কাজ করবে। এ ছাড়া ভারত থেকে অবৈধ পশু প্রবেশ ঠেকাতে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।

২০১২ সালে পাঁচজন উদ্যোক্তা মিলে গড়ে তোলা নগরের চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামের ময়মনসিংহ এগ্রো ফার্মে এখন আছে ৩৫টি ষাঁড়। এর মধ্যে ৩০টি বিক্রিযোগ্য। খামারটির উদ্যোক্তা আজহারুল হক জানান, গত দুই দিনে অনলাইনে পাঁচটি গরু বিক্রি হয়েছে। দেশীয় ও শাহীওয়াল জাতের এসব গরু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে, খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়েছে ঘাস, খৈল ও ভুসি। তিনি বলেন, ‘ক্রেতারা গরুর গায়ের রং ও স্বাস্থ্য দেখে মুগ্ধ, দরকষাকষির প্রয়োজন পড়ে না বললেই চলে।’

আজহারুল হক আরও বলেন, ‘প্রতিটি গরুর দাম ৮০ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। এবার অনলাইনে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আশা করছি গরু হাটে তোলার আগেই সব বিক্রি হয়ে যাবে।’

২০০৯ সালে ফুলপুর উপজেলার ভাইটকান্দি গ্রামে গড়ে ওঠা ‘বিগব্যাং ফার্ম’-এ এবার প্রস্তুত রয়েছে ২৫টি গরু। খামারের মালিক জহিরুল হক ভাষণ বলেন, ‘আমি কোরবানির হাটে গরু তুলি না, অনলাইনেই সব বিক্রি হয়ে যায়। প্রতিবছর কিছু নির্দিষ্ট ক্রেতার জন্য সংরক্ষণ করতে হয়। এবার কাজের চাপে খামারে সময় কম দিতে পারায় উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে।’

গরু কিনতে আসা নগরের বাসিন্দা মো. শাহজাহান বলেন, ‘আমি শুধু কোরবানির জন্য নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্যও এখান থেকে গরু কিনি। এখানকার গরুর মাংস সুস্বাদু এবং খামারের পরিবেশ সুন্দর।’

ব্যাপারী বাপন সাংমা বলেন, ‘খামার ঘুরে এবং অনলাইনে গরু দেখছি। এবার খামারিরা মাঝারি আকারের গরু বেশি প্রস্তুত করেছেন। এসব গরুর চাহিদাও ভালো, দামও অনেকটাই সাধ্যের মধ্যে। কিছু গরু কম দামে কিনে খামারে রাখছি, ঈদের আগে সেগুলো হাটে অথবা অনলাইনেই বিক্রি করব।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘রোজা শুরুর পর থেকেই জেলার প্রতিটি খামার পরিদর্শন করে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হবে এবং অতিরিক্ত ৫৮ হাজার পশু থাকবে। প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তি এড়াতে অনলাইন বিক্রিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে ভারত থেকে গরু অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা সতর্ক আছি।’

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ বিভাগ: অবৈধভাবে চলছে ৪৫৯ ইটভাটা

ময়মনসিংহে সদস্যপদ স্থগিত জামায়াত নেতার মনোনয়নপত্র দাখিল

ত্রিশালের এমপি হতে চান ভিক্ষুক আবুল মুনসুর, জমা দিলেন মনোনয়নপত্র

গফরগাঁওয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত: গতি কম থাকায় রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা

ভালুকায় শ্রমিকবাহী বাস উল্টে এক শ্রমিক নিহত, আহত ২০

রেললাইন খুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা, ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবেক এমপি শাহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুর ও মলমূত্র নিক্ষেপের ঘটনায় মামলা