ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া, শিক্ষকদের মারধরের হুমকি এবং বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে বসেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আতাউর রহমান। তাঁর সঙ্গে বসেন শিক্ষকেরাও। আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে ব্যানার টানিয়ে অনশনে বসেন তাঁরা। পরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে বিকেলে অনশন প্রত্যাহার করেন অধ্যক্ষসহ অন্য শিক্ষকেরা।
শিক্ষকেরা জানান, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ দেশের একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি সুন্দর খেলার মাঠ।
খেলার মাঠে বহিরাগত ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা নিষেধ সত্ত্বেও জোর করে খেলতে আসেন। এতে কলেজের স্থাপনা ভাঙচুর ও গাছপালা নষ্ট হয়। এ ছাড়া কলেজের গেটসংলগ্ন কাকলি ক্লাবে বসে বহিরাগতরা কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে।
রসায়ন বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। বিষয়টি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ কলেজ সভাপতিকে অবহিত করা হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরানোর লক্ষ্যে আমরা বদ্ধপরিকর।’
অধ্যক্ষ আতাউর রহমান বলেন, ‘কলেজকে উড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বহিরাগতরা সরাসরি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনবরত হুমকি দিচ্ছে। সুন্দর প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই আমাদের পাশাপাশি কলেজের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
এদিকে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র আল-আমীন আহমেদ হৃদয় মণ্ডল বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা কলেজ মাঠে খেলাধুলা করতে পারছি না। স্যাররা গেট বন্ধ করে দিয়েছেন। স্যারদের হুমকি দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তাঁরা ব্যানারে “বোমা মেরে কলেজ উড়িয়ে দেওয়া হবে” লিখে অনশন করছেন। আমরা যদি তা বলে থাকি, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা মাথা পেতে নেব। আমাদের দাবি, কলেজ ছুটির পর যেন সেখানে আমরা খেলাধুলা করতে পারি।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বহিরাগত ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হুমকির অভিযোগ এনে আমরণ অনশনে বসেছিলেন শিক্ষকেরা। পরে পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধানের লক্ষ্যে অনশন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষকেরা।