মাগুরার মহম্মদপুরে পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমানের দেওয়া উপহারের পালকি ভাঙচুর করেছেন শিক্ষার্থীরা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি।
আজ সোমবার উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে শোভাযাত্রায় এ ঘটনা ঘটে। পালকি ভাঙার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড মোড়ে কাগজ দিয়ে তৈরি লাল রঙের পালকি হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কিছু তরুণ। এরপর পালকিটি হাত ও পা দিয়ে ভাঙতে থাকেন তাঁরা। পালকির গায়ে লেখা ছিল–‘সৌজন্যে ৫ নম্বর বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান (মফিজ)’।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পালকিটি পয়লা বৈশাখের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে উপহার দেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুমন আহাদ হত্যা মামলার আসামি মফিজুর রহমান। তিনি সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। পরে জামিনে বের হন।
এ বিষয়ে জানতে বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পয়লা বৈশাখের শোভাযাত্রায় পালকি ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। পালকিতে বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের নাম লেখা ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।