লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাশিক্ষার্থী ছামিন হোসেনের (৭) মৃত্যুর ঘটনায় আটজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। আজ বুধবার আটক হওয়া শিক্ষক মাহমুদুর রহমানকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা হুমায়ুন মাতব্বর বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় শিক্ষক মাহমুদুর রহমান, তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, শিক্ষার্থী ছামিন হোসেন মৃত্যুর ঘটনায় আটজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় আটক মাহমুদুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
তথ্যমতে, গতকাল পড়া মুখস্থ না করায় মাদ্রাসার ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর জানার পর অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের নিতে মাদ্রাসার সামনে ভিড় করেন। অনেককে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্তানদের নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বসির আহমদের দাবি, ছামিন হিফজ বিভাগে পড়ছে। তবে তাকে শাসন করতে গতকাল সকালে কয়েকটি বেত মারা হয়। সে টয়লেটের ভেতর গিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে নির্যাতনে মারা যায়নি।
অপরদিকে শিক্ষার্থীর মা জয়নব ও বাবা হুমায়ুন মাতব্বর অভিযোগ করে বলেন, ছামিন আত্মহত্যা করেনি। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। শিক্ষক মাহমুদুর রহমানসহ অন্যরা তাকে বেদম মারধর করে হত্যা করে। ৭ বছর বয়সের বাচ্চা আত্মহত্যা করবে, এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। অভিযুক্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান নিহতের বাবা-মাসহ স্বজনেরা।