রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে পাখি আক্তার (১৫) নামে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, পাখি আক্তার লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর কেরোয়া গ্রামের রিকশা চালক কবির হোসেন ও গৃহিণী শেফালী বেগমের মেয়ে। সে কেরোয়া এমএম কাদের একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী। কয়েক দিন থেকে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য পাখি তাঁর বাব-মাকে চাপ দেয়। একপর্যায়ে মারধর করে তাঁর মা। এতে অভিমান করে ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয় সে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রায়পুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়।
পাখির মা শেফালী বেগম বলেন, 'স্কুল বন্ধ থাকায় কাগজের প্যাকেট তৈরির কাজ করছিল পাখি। পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেত সে। আমার স্বামী গরিব রিকশা চালক। গত কয়েক দিন ধরে মেয়েটি তাঁকে মোবাইল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হলে গতকাল সন্ধ্যায় আমি মেয়েটিকে মারধর করি। এতে সে অভিমান করে রাতেই ঘরে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয়।'
রায়পুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী জানান, পাখি এখন আশঙ্কামুক্ত।
পাখি আক্তার বলেন, 'মায়ের বকা, মারধর এবং মোবাইল না পাওয়ার কষ্টে আমি বিষপান করেছি। আমাকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি ও চেষ্টায় আমি অনুতপ্ত।'