লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নির্মাণাধীন মসজিদের টাকা তোলা নিয়ে ছৈয়দ আহম্মদ নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় বাবা ও দুই ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছৈয়দ আহম্মদকে হত্যার দায়ে একই পরিবারের তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আব্দুল মালেক, তাঁর ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও মো. খালেক। তাঁরা রায়পুর পৌরসভার শিবপুর এলাকার বাসিন্দা।’
পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছৈয়দ আহম্মদ রায়পুর পৌর শহরের শিবপুর এলাকার শামছুল হক ব্যাপারীর ছেলে। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট তিনি বাড়ির পাশের একটি নির্মাণাধীন মসজিদের টাকা উত্তোলন করতে যান। এ টাকা উত্তোলন নিয়ে আসামি জাহিদের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ছৈয়দ আহত হন। পরে তাঁকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে একইদিন সন্ধ্যায় বাড়ির অদূরে রক্তাক্ত অবস্থায় ছৈয়দকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাঁর মাকে খবর দেন। পরে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন ছৈয়দের মা রানী বেগম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরসহ ৪ জনের নাম সন্দেহজনকভাবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষিদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।