হোম > সারা দেশ > খুলনা

‘ঈদের খরচ’ জোগাড় করতে নদের বালু তুলছেন ছাত্রলীগ নেতা

যশোরের মনিরামপুরের কাশিমনগর ইউনিয়নে হরিহর নদ খুঁড়ে বালু তোলার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। কাশিমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কামরান হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক মিলে কামারঘাটা সেতুর উত্তর পাশের নদ থেকে বালু তুলে বিক্রি করছেন। কাশিমনগর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তার দপ্তরের অদূরে প্রকাশ্যে নদ থেকে এক্সকাভেটর (খনন যন্ত্র) দিয়ে চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে এক মাস ধরে বালু তুলে বিক্রি করার অভিযোগ থাকলেও এটি বন্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ছাত্রলীগ নেতা কামরানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘ঈদ সামনে। খরচ-খরচার ব্যাপার আছে। আমরা ওপরের নেতার সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করেছি। বিষয়টি একটু দেখবেন।’

মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রমেশ দেবনাথ বলেন, কামরান হোসেন কাশিমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। তিনি নদ থেকে বালু তুলছেন কি না, জানা নেই।’

এদিকে এক্সকাভেটর দিয়ে বালু তোলায় নদে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলের পাড় ভেঙে ফসলি জমিসহ ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে নদের দুই পাড়ের বাসিন্দারা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কাশিমনগর ইউনিয়নের কামরান, শরিফুল, শাওন, আব্দুর রাজ্জাক, বিল্লালসহ ১০-১২ জন নদের বালু তোলার কাজে জড়িত। প্রায় এক মাস ধরে তাঁরা কামারঘাটা সেতুর উত্তর পাশে হরিহর নদের মাঝ বরাবর এক্সকাভেটর দিয়ে খুঁড়ে বালু তুলে নদের ভেতরে স্তূপ করে রেখেছে। এরপর ট্রাকে ভরে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তা বিক্রি করছে। এতে একদিকে যেমন নদের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাক ভরে নেওয়ার সময় বাতাসে বালু উড়ে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চক্রটি শক্তিশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না। 

খবর পেয়ে মঙ্গলবার সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, কামারঘাটা সেতুর উত্তর পাশে নদের মাঝ বরাবর কয়েক শ গজ খুঁড়ে বালু তুলে পূর্ব পাড়ে স্তূপ করে রাখা আছে। পাশে এক্সকাভেটরচালক নতুন স্থান খুঁড়ে বালু তোলার কাজ করছেন। এ সময় চক্রের দুজনকে পাওয়া যায়। তাঁদের একজনের নাম শাওন। তিনি বালু তোলার কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। পাশেই চেয়ার পেতে খাতা-কলম হাতে আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন বসে আছেন। তিনি ক্রেতার সঙ্গে দর-কষাকষি করে বালু বিক্রি করছেন। বালুর স্তূপের পাশে ট্রাক রেখে চালক মোহাসিন বসে আছেন। তিনি বালু কিনতে এসেছেন।

বালু তোলা চক্রের সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এক লাখ টাকা আগাম জমা দিয়ে এক্সকাভেটর ভাড়া করে এনেছি। প্রতিদিন এক্সকাভেটরের পেছনে ২১ থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ আছে। এখন নিউজ হলে ১৪-১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। ঈদের পরে এক্সকাভেটর নদ থেকে তুলে নেব।’

কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদশা দেওয়ান বলেন, ‘যেখানে বালু তোলা হচ্ছে, সেখানে নদের পাড়ে আমার মামার তিন বিঘা জমি আছে। বালু তুললে পাড়ের জমি ভেঙে যাবে। এ জন্য আমি ওদের নিষেধ করেছিলাম। শোনেনি।’

কাশিমনগর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কামারঘাটা বাজার আমার দপ্তর থেকে একটু দূরে। সেখানে এক্সকাভেটরে বালু তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। অফিসে গিয়ে খবর নেব।’
  
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে আগে কেউ জানায়নি। আমি কাশিমনগর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বাগেরহাটে জাপানপ্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট

অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: চার ঘণ্টা পর আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করল পুলিশ

খুলনা ওয়াসা: প্রকল্প পরিচালক হলেন ষষ্ঠ গ্রেডের প্রকৌশলী

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনায় ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দেবর আটক

খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২

লিচুগাছে নারীর ঝুলন্ত লাশ, রয়েছে আঘাতের চিহ্ন

যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ গাংনীতে গ্রেপ্তার ১

মাথায় আঘাত ও বালিশচাপায় মাকে হত্যা, ৬ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে উধাও

নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক