বাগেরহাটের শরণখোলা সুন্দরবনের কাছে বিভিন্ন লোকালয়ে বাঘের ঘুরে বেড়ানোর চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে সুন্দরবন থেকে উপজেলার টগরাবাড়ী এলাকার লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ধানসাগর টগড়াবাড়ী এলাকার গ্রাম পুলিশ সদস্য তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শনিবার মধ্য রাতের পরে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ (শরণখোলা উপজেলার) ধানসাগর বনাঞ্চল থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ভোলা নদী পার হয়ে টগড়বাড়ী এলাকার গ্রামে ঢুকে পড়ে। গ্রামবাসী জড়ো হয়ে টিন পিটিয়ে ও হই হুল্লোড় শুরু করলে বাঘ সুন্দরবনে ফিরে যায়।’
প্রত্যক্ষদর্শী আমিন চকিদার, তোফাজ্জল হোসেন ও ইসহাক আলী বলেন, ‘শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে তারা গরু পাহারা দেওয়ার জন্য বের হলে টর্চ লাইটের আলোয় গ্রামের জালাল হাওলাদারের বাগানের মধ্যে একটি বাঘ দেখতে পান। এ সময় তারা ডাক চিৎকার দিলে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বেরিয়ে আসে। এ সময় বাঘটি সরু ভোলা নদী পার হয়ে সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকে পড়ে।’
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গ্রামে বাঘ আসার খবর তার জানা নেই। কেউ তাকে জানায়নি। বিষয়টির খোঁজ খবর নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার দুপুর থেকে গতকাল (শনিবার) দুপুরের আগ পর্যন্ত সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর অফিস এলাকায় কয়েকবার বাঘ দেখেছেন বনরক্ষীরা।
তাঁরা বলেন, ‘চাকরি সূত্রে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থাকলেও, বাঘ দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। প্রথমবারের মতো বাঘ দেখায় খুব ভয় পেয়েছিলাম। তবে বাঘগুলো চলে যাওয়ার পরে স্বস্তি ফিরে পেয়েছি আমরা।’
মো. ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘বাঘগুলো খুবই শান্ত ছিল। কোনো হিংসা প্রদর্শন করেনি। এরপরেও আমরা খুবই সতর্ক ছিলাম। সতর্কতার সঙ্গে ছবি তুলেছি। এখন আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। বাঘ আসলেও যাতে কারও কোনো ক্ষতি না হয় এবং বাঘগুলোকে কেউ যাতে বিরক্ত না করে সে জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।’