হোম > সারা দেশ > কুষ্টিয়া

তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বর্ণনা দিলেন সেই ইবি ছাত্রী 

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিবস্ত্র করে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।  হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা পৃথকভাবে ওই ছাত্রী সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টের রুমে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি সদস্যরা প্রায় চার ঘণ্টা কথা বলেন। এ সময় ওই ছাত্রী ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেন।  

জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হল প্রশাসনের তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁকে প্রভোস্ট রুমে উপস্থিত করা হয়। পরবর্তীতে বেলা ২টার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটির সদস্যরাও ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর সঙ্গে একই রুমে কথা বলেন। দুইটি তদন্ত কমিটির সদস্যরা ছাত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে প্রায় চার ঘণ্টা কথা বলেন। 

তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা শেষ করে বের হয়ে আসেন ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী। তখন তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পর থেকে আমি নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে করছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চার পৃষ্ঠার স্বাক্ষরিত বিস্তারিত বর্ণনা লিখিত আকারে নিয়েছে। হলে আমার সঙ্গে যেখানে যা হয়েছে তা তদন্ত কমিটির সদস্যরা আমাকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। আমি প্রত্যাশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর সর্বোচ্চ শাস্তি দিবে। এদিকে এ ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ও মামা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কথা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাঁদের কাজ করছে। আমি তাঁর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আমি তাঁর পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ‘আমরা তদন্ত করেছি। একদিনে আমরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। তদন্তের প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে তথ্য চেয়ে কয়েকটি চিঠি প্রেরণ করেছি। গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও অন্যদের বক্তব্য নেওয়া হবে। যথাসময়ে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’ 

এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাবা ও মামাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নামেন ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থী। বাস থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোতে করে হলে নিয়ে আসেন সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে পাবনার উদ্দেশে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে প্রধান ফটক থেকে বাসে তুলে দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা নির্যাতন চালায় এক নবীন শিক্ষার্থীকে। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল এবং এই ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: চার ঘণ্টা পর আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করল পুলিশ

খুলনা ওয়াসা: প্রকল্প পরিচালক হলেন ষষ্ঠ গ্রেডের প্রকৌশলী

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনায় ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দেবর আটক

খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২

লিচুগাছে নারীর ঝুলন্ত লাশ, রয়েছে আঘাতের চিহ্ন

যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ গাংনীতে গ্রেপ্তার ১

মাথায় আঘাত ও বালিশচাপায় মাকে হত্যা, ৬ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে উধাও

নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনতাইচেষ্টা, যুবক আটক

জামায়াতে যোগ দেওয়ায় হিন্দুদের মনে শান্তি এসেছে: কৃষ্ণ নন্দী