ঘোড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই, মোরগ লড়াই, এমনকি মই নিয়ে গরুর দৌড় প্রতিযোগিতার কথা সবাই জানেন, দেখেছেন। তবে এবার যশোরের কেশবপুর উপজেলায় ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
ব্যতিক্রমী এই দৌড় প্রতিযোগিতা ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। খবর পেয়ে দূরদূরান্ত থেকে অনেকে এসে ভিড় করেন।
এলাকাবাসীকে বিনোদন দিতে উপজেলার আটন্ডা যুবসমাজ ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতার এই আয়োজন করে। ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতা দেখার জন্য দুপুরের পরপরই আটন্ডা গ্রামে মাঠের দুই পাশে ভিড় করে নারী-পুরুষ-শিশুসহ শত শত উৎসুক মানুষ। ওই এলাকায় প্রতিযোগিতা ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাঠকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এলাকার ৩০টি পোষা ছাগল। চেনার সুবিধার্থে ছাগলগুলোর গলায় ক্রমিক নম্বরসংবলিত কার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
ছাগলের মালিকদের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় পাঁচ ধাপে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আটন্ডা গ্রামের মাহফুজ হোসেনের ছাগল প্রথম, শহিদুল ইসলামের ছাগল দ্বিতীয় ও সাইফুল ইসলামের ছাগল তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ঘড়ি, পানির জগ ও মগ। বিজয়ী ছাগলের মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আটন্ডা গ্রামের ব্যবসায়ী হাসিবুল হাসান শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক ফেরদৌস রহমান।
ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আসা স্থানীয় শিক্ষক রাজু আহমেদ বলেন, ‘এবারই প্রথম ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতা দেখলাম। খুবই ভালো লেগেছে।’
রহিমা খাতুন বলেন, ‘ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতা হবে, এমনটি শুনে দুপুরের পরপরই দেখতে এসেছি। এলাকায় এ দৌড় প্রতিযোগিতা ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে।’
আয়োজক কমিটির সভাপতি হাসিবুল হাসান শান্ত বলেন, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক আয়োজন হারিয়ে যেতে বসেছে। এলাকার মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য ব্যতিক্রমী ছাগলের দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ভবিষ্যতেও এলাকাবাসীকে বিনোদন দিতে এমন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।