যশোরের মনিরামপুরে নানার সঙ্গে পুকুরে গোসলে নেমেছিল ৮ বছরের লাবিবাসহ আরও কয়েকজন শিশু। সবাইকে গোসলে করিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে, নিজে গোসলে নামেন নানা। গোসল শেষে বাড়ি ফিরে জানতে পারেন, লাবিবা ফেরেনি। পরে পুকুরে খুঁজেই মিলেছে শিশুটির লাশ।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার নাদড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিশু লাবিবা ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ এলাকার শরিফুল ইসলামের মেয়ে। বাবা মায়ের সংসার না টেকায় ছোটবেলা থেকে সে নাদড়া গ্রামে নানা মইনুদ্দিনের বাড়িতে থাকত।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহাসিন আলী।
লাবিবার নানা মইনুদ্দিনের ভাই গিয়াসউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরে লাবিবাসহ বাড়ির ছোট্ট ৪ জন নাতি-নাতনিকে নিয়ে হরিহর নদীর ধারে একটি পুকুরে গোসল করতে যান বড় ভাই। তিনি নিজের হাতে ৪ জনকে গোসল করিয়ে পাড়ে তুলে দিয়ে নিজে গোসলে নামেন। একপর্যায়ে তিন শিশু বাড়ি ফিরে আসলেও লাবিবা ফের পুকুরে নামে। বিষয়টি টের না পেয়ে গোসল সেরে বাড়ি ফেরেন বড় ভাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ি ফিরে বড় ভাই জানতে পারেন লাবিবা ফিরে আসেনি। পরে পুকুরে নেমে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পানির নিচ থেকে লাবিবাকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক লাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এ বিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছিল।’