পরিবারের সচ্ছলতা আনতে সাত বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন মেহেরপুরের গাংনীর তোফাজ্জল হোসেন (৫৫)। ১০ দিন আগে মস্তিষ্কে রক্তরক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর লাশ দেশে আসার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
মৃত তোফাজ্জল গাংনীর বামন্দী ইউনিয়নের ঝোড়াঘাট গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে তাঁর লাশ নিজগ্রাম ঝোড়াঘাটে এসে পৌঁছায়। সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। তাঁকে এক পলক দেখার জন্য ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ।
তোফাজ্জল হোসেনের ভাতিজা বিপ্লব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার চাচা দীর্ঘদিন দুবাই ও ব্রোনাই ছিলেন। এরপর মালয়েশিয়ায় যান সেখানে প্রায় ৭ বছর অবস্থান করছিলেন। কিন্তু প্রথম রোজার দিন হঠাৎ শুনতে পাই আমার চাচা স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেছেন। আমার চাচার লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা দ্রুত কাগজপত্র সেখানে প্রেরণ করি। আজ দশম রোজায় চাচার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার চাচার সহকর্মীদের সাথে সার্বিক যোগাযোগ রেখেছিলাম। তারা দ্রুত লাশ দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এজন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।’
তোফাজ্জল হোসেনের বড় ভাই মরজেম আলী বলেন, ‘আমার ভাই পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে অবস্থান করছিলেন। আমি বড় অথচ সে আমার আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল।’