বিশ্ববিদ্যালয়জীবন বহুমাত্রিক কারণে একজন মানুষের সবচেয়ে স্মরণীয় সোনালি অধ্যায়। এই অধ্যায়ে মানুষ তার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সময় পার করে। এসব স্মৃতি কি চাইলেই ভোলা যায়! এই ক্যাম্পাসের চিরপরিচিত আঙিনায় মানুষ পায় বন্ধু, সহপাঠী কিংবা প্রিয়জন।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পর চাইলেই কি দেখা হয় সবার সঙ্গে? কদাচিৎ এসব প্রিয় মানুষের দেখা মেলে। কাজের ফাঁকে ক্যাম্পাসে কাটানো স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসলে যেন মনের অজান্তেই মুখের কোণে ফুটে ওঠে এক চিলতে হাসির রেখা। জীবনের চলার পথে এসব প্রিয় মানুষের সঙ্গ অতি কাঙ্ক্ষিত। বহুকাল পরে দেখা হলে তো আর কথাই নেই, স্মৃতিচারণে, আড্ডায় যেন কথার ফুলঝুরি ফোটে।
আজ শনিবার সারা দিন এমনই দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা মঞ্চ, রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবন ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান অডিটোরিয়াম এলাকায়। পুরোনো সতীর্থদের পেয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। কেউ কেউ জড়িয়ে ধরছেন একে অপরকে। কেউ আড্ডায়, উচ্ছ্বাসে মেতেছেন।
দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের বন্ধুদের পেয়ে শিশুদের মতোই খুনসুটিতে মেতেছিলেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আড্ডার আসরে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন সেই তরুণ কাঁচা বয়সে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসে। আড্ডার সঙ্গে সঙ্গে চলছিল বিভিন্ন স্টাইলে তোলা সেলফির ঘনঘটা। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মুখর প্রাণের স্পন্দন জেগেছিল পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।
আজ শনিবার ‘যুক্ত হই মুক্ত আনন্দে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রথমবারের পুনর্মিলনী উৎসবে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতেছেন বাংলা বিভাগের সাবেক-বর্তমান মিলিয়ে ৩৩টি ব্যাচের হাজার খানেক শিক্ষার্থী।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একটি মাতৃভাষা সমাজকে বিনির্মাণ করতে পারে, যা অস্ত্রের মাধ্যমে সম্ভব নয়। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী যাঁরা দেশ ও দেশের বাইরে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁরা আজ নিজ পরিবারে এসেছেন নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতা বাড়ানোর জন্য। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে আপনাদের কর্মের মধ্য দিয়ে দেশ ও জাতি সমৃদ্ধ হবে। তিনি তৎকালীন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় ভাষণ দেওয়ার বিষয়টি তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন।’