মাগুরার মহম্মদপুরে বিয়ের ১৯ দিন পর গলায় ফাঁস দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
ওই যুবকের নাম মো. শহিদুল্লাহ (৩৩)। তিনি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামের মৃত. তবিবার মোল্যা ছেলে। পেশায় শহিদুল্লাহ একজন পাট ব্যবসায়ী ছিলেন।
মৃত্যুর আগে তিনি একটি চিঠি লিখে গেছেন। চিঠির বরাত দিয়ে ছোট ভাই মাসুদ রানা জানান, তাঁর ভাই চিঠিতে লিখেছেন মৃত্যু জন্য কেউ দায়ী নন। তাঁর ব্যবসার টাকা দ্রুত যেন ভাই-বোনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে যেন দ্রুত দাফন করা হয়।
শহিদুল্লাহর ভাই মো. মাসুদ রানা জানান, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পরিবারের পছন্দে উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বেথুরি গ্রামের খবির হোসের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত ৬ অক্টোবর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর শ্বশুর বাড়িতে যান। এর দুই দিন পর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। গত রাতেও তাঁর ভাই ক্যারমবোর্ড খেলেছে। কিন্তু কী কারণে রাতে বাড়ি এসে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে সকালে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, আপাতত মনে হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।