বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে জেলেরা। আজ সোমবার দুপুরে ও বিকেলে দুজনের এবং গতকাল রোববার রাতে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো অন্তত ১০ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুবলার চরের জেলেরা।
আজ সোমবার দুপুরে ও গতকাল রোববার রাতে উদ্ধার হওয়া মরদেহ তিনটি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আন্ধারমানিক গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদলের (৫০) এবং একই উপজেলার বগা গ্রামের প্রয়াত সোনাম উদ্দিনের ছেলে ইয়াকুব আলী বাওয়ালির (২৮)। বিকেলে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের দুবলা জেলেপল্লির টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।
নিহতদের মধ্যে ইয়াকুব আলী বাওয়ালির মরদেহ তাঁর বাড়ি কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামে নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ভাইয়ের ছেলে ইব্রাহীম আমানি।
ইব্রাহীম আমানি বলেন, আমাদের গ্রামের অনেক মানুষই সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় বগার সাত জেলে নিখোঁজ ছিল। এর মধ্যে ইয়াকুব চাচার মরদেহ আমরা পেয়েছি। অন্য ছয়জনের বিষয়ে এখনো কোন খবর আমরা পাইনি।
গত শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের দুবলার শুকটি পল্লি এবং উপকূলীয় এলাকার অন্তত ২১টি ট্রলার ডুবে যায়। শনিবার পর্যন্ত ডুবে যাওয়া ১৬টি ট্রলার এবং দেড় শতাধিক জেলেকে সাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করেন অন্য জেলেরা। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ অন্তত ১০ জেলে ও ৬টি ট্রলারের সন্ধান মেলেনি।