কুষ্টিয়ার কুমারখালীর যদুবয়রা বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের ফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার ভোটার ছিলেন ৬৪৩ জন। ভোটে যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান এবং যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান সাবু প্যানেল দেন।
ভোটগ্রহণ শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ প্রথমে সাবু প্যানেলকে বিজয়ী করে ফলাফল প্রস্তুত করেন। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মিজান প্যানেলের সমর্থকেরা। তাঁরা পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানায়। পরে তোপের মুখে ভোট গণনায় ভুল হয়েছে দাবি করে সন্ধ্যায় মিজান প্যানেলকে জয়ী ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে সাবু প্যানেলের কামরুজ্জামান সাবু বলেন, ‘প্রথমে আমরা বিজয়ী হলাম। পরে আবার ভোট গণনা করে আমাদের হারিয়ে দিল। আমরা এ ফল মানি না। পুনরায় ভোট গণনার জন্য আমরা আবেদন করব।’
জানা গেছে, হামলার ভয়ে প্রায় আধঘণ্টা দেরিতে পুলিশ পাহারায় ভোট কেন্দ্র ত্যাগ করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। জয়বাংলা বাজার এলাকায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার গাড়ি অবরোধের চেষ্টা করে মিজান প্যানেলের সমর্থকেরা। এ সময় পুলিশ পাহারায় দ্রুত জয়বাংলা বাজার এলাকা ত্যাগ করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিজান প্যানেলের দুজন সমর্থক বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার ভোট চুরি করেছিল। এ জন্য আমাদের লোকজন তাঁর গাড়ি অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ ব্যাপারটি বুঝতে পেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।’
এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথমে ভোট গণনায় ভুল হয়েছিল। পরে সঠিক করে গুণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ভুলতো হতেই পারে। তবে গাড়ি অবরোধের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সব জায়গায় গ্রুপিং রয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ। ভোটে পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কিন্তু ভোট চুরি বা গাড়ি অবরোধের বিষয়টি জানা নেই।