খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রোডের শাহ শিরিন সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত তৌকির আহমেদ আবিদ (২৩) সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আবিদের সহপাঠীরা জানান, দুপুরে দরজা ভেঙে ভেতরে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ ঝুলতে দেখেন তাঁরা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যসহ হরিণটানা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। শিক্ষার্থীর এমন করুণ মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী নাজমুল হক বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ছেলেটাকে হল রোডে তার বাবা–মায়ের সঙ্গে দেখেছিলাম। বাবা–মা হয়তো ছেলের ক্যাম্পাস দেখতেই আসছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। কতটা যন্ত্রণা, মানসিক কষ্ট থাকলে মানুষ নিজের হত্যাকারী নিজে হয়ে ওঠে। ছেলেটার মনে কী চলছিল, হয়তো আল্লাহ জানেন। আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিক।’
আরেক শিক্ষার্থী নাইম খান বলেন, ‘জীবনে আত্মহত্যা যদি সব সমস্যার সমাধান হতো, তাহলে এই পৃথিবীর সবাই একবার হলেও নিজ ইচ্ছায় মৃত্যুর স্বাদ নিত। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়।’