হোম > সারা দেশ > ঝিনাইদহ

দোতলায় ভোট গ্রহণ নিয়ে বিপাকে ঝিনাইদহের বয়স্ক ভোটাররা 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ভোট দিতে এসেছেন ৯০ বছর বয়সী তোতারন্নেছা। জীবনের এই শেষ বয়সে এসে নিজের পায়ে হেঁটে ভোট দেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই তার। তার পরও ভোট দিতে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। কিন্তু ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে কেন্দ্রের স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলায়। যে কারণে রোদের মধ্যে ভ্যানের ওপর অপেক্ষায় আছেন কেউ তাঁকে নিয়ে যাবে। 

আজ রোববার তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়। তোতারন্নেছার মতো অনেকেই ভোট দিতে এসে এ রকম বিপাকে পড়েন। সকাল থেকে জেলার দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের ১৫৫ কেন্দ্রে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১০৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তবে নারী ভোটারদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। 

ভোটারের দীর্ঘ লাইনে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছেন মাজেদা নামের এক নারী ভোটার। তিনি বলেন, `সকাল থেকে বসে আছি, এখনো ভোট দিতে পারলাম না। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত, তাই এখানেই বসে পড়েছি। কেন এত দেরি হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারছি না।' 

বৃদ্ধ নওশের আলী বলেন, `ভোট দিতে এসে অনেক সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর দাঁড়াতে পারছি না, তাই একটু বসে পড়লাম।' তিনি আরও বলেন, `দোতলায় উঠে ভোট দিতে হচ্ছে। নিচে করলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হতো।'

বয়স্কদের সমস্যার কথা স্বীকার করে এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আক্তারুজ্জামান মোল্লা বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দোতলায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। 

ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ভোটের দিনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কেন্দ্রের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের কঠোর দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। কেউ ভোটারদের বাধা দেওয়া কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। 

জানা যায়, আজ সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে শনিবার দুপুর থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এদিন স্ব-স্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে প্রিসাইডিং অফিসাররা ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য ভোটের সামগ্রী বুঝে নেন। তবে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে পাঠানো হয়। 

দুই উপজেলার ১৫৫ কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১ হাজার ৫১ জন পুলিশ, ১১ প্লাটুন বিজিবি ও ২ হাজার ৬৩৫ জন আনসার সদস্য কাজ করবেন। এসব উপজেলায় সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১২ জন। 

আবাসিক হোটেল থেকে জাপা নেতার মরদেহ উদ্ধার

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত, প্রাণিচিকিৎসক আশঙ্কাজনক

খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাংবাদিক নিহত

খুলনায় আদালত প্রাঙ্গণে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ১৩ দফা দাবি পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের

প্রার্থীর আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তা দেওয়া হবে: কেএমপি কমিশনার

আমির হামজার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের বিবৃতি

খুলনায় আবাসিক হোটেল থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

সাত দফা দাবিতে মিরপুরে রেলপথ অবরোধ, দুই ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

খুলনার পূর্ব রূপসায় যুবককে গুলি করে হত্যা