কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সামছুল আলম (৭০) নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের দড়ি বাটিকামারা গ্রামের দ্বিতীয় স্ত্রী রেশমা খাতুন ওরফে নুপুরের (২৪) বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সামছুল আলম উপজেলার চাদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া গ্রামের মৃত গোলাম সরোয়ারের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য জন্য মরদেহটি সুরতহাল করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে মো. সারবিনা আলম ও অন্যান্য স্বজনদের অভিযোগ, অর্থের লোভে মোটা অঙ্কের কাবিনে ফাঁদে ফেলে সামছুল আলমকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন রেশমা। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য নিয়মিত তাকে মারধর করতেন ওই নারী। গতকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে তাঁকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। শরীরে একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চান তাঁরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাহরিয়ার নাফিজ বলেন, ‘বেলা ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালের বাইরে থেকেই তাঁকে প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে স্বজনেরা দ্রুত মরদেহ নিয়ে বাড়ি চলে যায়। আমরা চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে পারিনি। তবে মরদেহের শরীরে রক্তমাখা ছিল।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ‘রোববার বিকেল ৫ টার দিকে খবর পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শরীরে কিছুটা সন্দেহজনক ক্ষত রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’