খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আট দিন পর ১৪৪ ধারার আদেশ প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। এদিকে পৃথক এক আদেশে গুইমারা উপজেলার ১৪৪ ধারার আদেশও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আগামীকাল রোববার ভোর ৬ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অপরদিকে রাতে গুইমারার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আকতার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, রোববার ভোর ৬টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গুইমারায় ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টা থেকে ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করা হয়েছিল।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকা সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে তা কার্যকর হবে।’
এর আগে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ পুরোপুরি প্রত্যাহার করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। সংগঠনটির মিডিয়া সেল থেকে আজ সকালে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। মানবিক কারণ ও প্রশাসনের আশ্বাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বিচারের দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে জেলায় সড়ক অবরোধ ঘোষণা করা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর ভোর ৫টায় জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। ওই দিন বেলা ২টা থেকে জেলার সদর উপজেলা, পৌরসভা এলাকা ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর ১৪৪ ধারা মধ্যেই অবরোধের সময় গুইমারায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় তিনজন নিহত হন এবং সেনা কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ আহত হন। গুইমারার রামসু বাজার ও আশপাশে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
শহরের মহাজনপাড়া, নারিকেলবাগান এবং স্বনির্ভর বাজার ও নারানখাইয়া এলাকায় অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করা হয়েছিল।