খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মো. আতিক হাসান (১৩) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
মো. আতিক হাসান উপজেলার মেরুং ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁচামেরুং এলাকার মো. আয়ুব আলীর বড় ছেলে। সে বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আতিক হাসানের বাবা আয়ুব আলী জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার জন্য দোকান থেকে নাশতা এনে দিয়ে আবার দোকানে চলে যাই আমি। কিছুক্ষণ পর বাসায় এসে বড় ছেলে আতিক হাসান ও আমার ছোট ছেলে এবং স্ত্রী একসঙ্গে ভাত খাই। পরবর্তীতে আমার স্ত্রী ভিজিডির চাল আনতে মেরুং ইউপিতে যান। আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে চুল কাটাতে যাই। বিদ্যুৎ না থাকায় সেখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। একপর্যায়ে আমার স্ত্রী মেরুং ইউপি থেকে ভিজিডির চাল নিয়ে ফিরে আসেন। ফিরে এসে দেখেন আতিক বসত ঘরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আতিক মারা গেছে।
আয়ুব আলী আরও জানান, পরিবারে কোন প্রকার মনোমালিন্য বা ঝগড়া ছিল না। কেন আত্মহত্যা করেছেন বুঝতে পারছি না।
দীঘিনালা থানার উপপরিদর্শক পেয়ার আহাম্মেদ জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছি আতিক ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। তবে পরিবার কোন প্রকার কোন অভিযোগ ও মামলা করেননি। পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের সন্তানকে ময়নাতদন্তের জন্য দিতে রাজি না। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।