সংযোগ সড়ক ও ব্রিজের গাইডওয়াল না থাকায় অকেজো পড়ে আছে রামগড় উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৈচালায় খালের ওপর নির্মিত ব্রিজ। এতে চলাচলে চরমভাবে ভোগান্তিতে ভুগছেন দুই গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ।
জানা যায়, চলাচলের সুবিধার্থে ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ থেকে এই ব্রিজের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক ও গাইডওয়াল না থাকায় ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। এ ছাড়া ব্রিজটির সঙ্গে সংযুক্ত করার মতো চলাচলের উপযোগী কোনো সড়ক নেই।সড়ক না থাকলেও মানুষের বসবাস দেখা যায়। মধ্যম তৈচালাপাড়া ও ভতচন্দ্রপাড়ার প্রায় ৭০০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র গ্রামীণ সড়ক এটি।
এই এলাকার হাসান আলী নামের এক বৃদ্ধ জানান, এলাকাবাসী বর্ষার সময় খালের ওপর কাঠ–বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে শান্তিতে চলাচল করত। কিন্তু এখন ব্রিজটি নির্মাণ করায় মানুষের সেই শান্তিও চলে গেছে। বর্ষার আগে এই ব্রিজের যদি গাইড সংযোগসহ মাটি ভরাটের কাজ না করা হয়, তাহলে যেটুকু রাস্তা আছে তা–ও ভেঙে যাবে। তা ছাড়া বর্ষাকালে খালের অন্য পাড়ের তৈচালাপাড়ার মানুষের রামগড় সদরে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে রামগড় পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শামীম বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ব্রিজ নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়। মাত্র কয়েক মাস হলো নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ব্রিজের সড়ক সংযোগের মাটি ভরাটের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা আজকের পত্রিকাকে জানান, সংযোগ সড়ক এবং গাইডওয়াল না থাকার বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার থেকে খোঁজখবর নিয়ে খুব দ্রুত বাকি কাজ সম্পন্ন করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।