খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় এক পুলিশ সদস্যের বউয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। কিন্তু সেই ঘরে কেউ থাকেন না। ওই ঘরে পালন করা হচ্ছে হাঁস ও মুরগি। ঘর বরাদ্দ পাওয়া পরিবার পাশের তিনতলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকে।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মংতু চৌধুরীপাড়ায় সত্য রানী ত্রিপুরার বসবাস। তাঁর স্বামী রণজিৎ ত্রিপুরা ফেনী জেলা পুলিশে চাকরি করেন। এ সরকারি চাকরি করা ব্যক্তির স্ত্রীর নামে বরাদ্দ হলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। কীভাবে পেল এই ঘর, তা নিয়ে অসহায় কিছু পরিবারের মাঝে প্রশ্ন জেগেছে।
সরকারিভাবে সারা দেশে বিভিন্ন আশ্রয়হীন মানুষের জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সেই ঘর প্রকৃত মানুষেরা পাচ্ছেন না। আবার যারা পেয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে সেই ঘরে হাঁস-মুরগি পালন করছে।
সরেজমিন মাটিরাঙ্গা সদরের মংতু চৌধুরীপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, পাশের একটি বিল্ডিংয়ে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করছেন পুলিশ সদস্য রণজিৎ ত্রিপুরার পরিবার। আর তাঁর বরাদ্দ পাওয়া সরকারি ঘরে পালন করা হচ্ছে হাঁস-মুরগি।
এ বিষয়ে সত্য রানী ত্রিপুরা জানান, সবার মতো তিনিও ঘরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। কিছুদিন পর তাঁকে কল করে জানানো হয়েছে যে তাঁর ঘর বরাদ্দ হয়েছে। পরে ঘরের কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ঘরে তাঁরা কোনো দিন বসবাস করেননি।
পুলিশের স্ত্রীর পাওয়া ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃলা দেব বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক দুস্থ, অসহায়, স্বামী পরিত্যক্তা ও প্রতিবন্ধীদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। অন্য কিছুকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এ বিষয় নিয়ে যদি কেউ অভিযোগ করেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।