ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে স্বামীর কাঠের ফার্নিচার কারখানা থেকে স্ত্রী তাসলীমা খাতুনের (৩৮) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১২ অক্টোবর) রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী, কাঠ ব্যবসায়ী লাল মিয়া (৪০) পলাতক রয়েছেন। লাল মিয়া গোপীনাথপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে তাসলীমা খাতুন স্বামীকে দুপুরের খাবার দেওয়ার জন্য ফার্নিচার কারখানায় যান। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মেলেনি। পরিবারের অন্য সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর তালাবদ্ধ কারখানায় তাসলীমার মৃতদেহ দেখতে পান। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে কারখানার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং একটি চৌকির নিচ থেকে তাসলীমার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ছেলে রাজন হোসেন জানান, সকালে মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি অফিসে চলে যান। দুপুরে বোন ফোন করে জানায়, মায়ের ফোনে কল ঢুকছে না। অফিস থেকে এসে দেখেন, মায়ের ফোন বাড়িতেই রয়েছে। এ সময় বাবার ফোনে কল দিলে সেটিও বন্ধ পান। পরে কারখানায় গিয়ে দেখেন তালা দেওয়া।
স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, লাল মিয়া বিভিন্ন সময় নেশা করতেন। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হতো। তাঁদের ধারণা, নেশা-সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘আমরা নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছি। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক থাকায় তাঁকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।’
পুলিশ রাত ১১টার দিকে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।