বিসিবির সাবেক পরিচালক কাজী এনাম আহমেদকে যশোর ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য করায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন ক্রীড়া সংগঠক ও খেলোয়াড়েরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় নেতৃবৃন্দ আগামীকাল বুধবার যশোর স্টেডিয়ামে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং হুঁশিয়ারি দেন অবিলম্বে কাজী ইনাম আহমেদকে অপসারণ না করলে যশোর ক্রীড়াঙ্গনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার।
তাঁরা আরও জানান, ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৯ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
এতে পদাধিকারবলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া অফিসারকে সদস্যসচিব রেখে কমিটির সদস্য করা হয়েছে–জেডিএসএর সাবেক সম্পাদক শফিকউজ্জামান ও সাবেক সহসভাপতি এ জেড এম সালেক, ক্রীড়া সংগঠক কাজী ইনাম আহমেদ, এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুহম্মদ বুরহান উদ্দিন, ছাত্র প্রতিনিধি সামিউল আলম শিমুল ও ক্রীড়া সাংবাদিক মাসুদ রানা বাবুকে।
আট মাস আগে গঠিত এই অ্যাডহক কমিটির ক্রীড়া সংগঠক শ্রীনিবাস হালদারের স্থলে বিসিবির সাবেক পরিচালক কাজী এনাম আহমেদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের ভাই। শেখ হাসিনা সরকার আমলে ভাইয়ের তদবিরে যশোরের প্রতিনিধি হয়ে পরপর দুই মেয়াদে বিসিবির পরিচালকের দায়িত্ব পান তিনি।
এ বিষয়ে যশোর ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহাতাব নাসির পলাশ বলেন, ‘সর্বশেষ দুই নির্বাচনে কাজী এনাম আহমেদ যশোরের প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর যশোরের ক্রীড়া সংগঠকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান ছাড়া স্থানীয় খেলাধুলার ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর রাখেননি। যশোরের ক্রীড়াঙ্গনে তাঁর কোনো অবদানই নেই। এমনিতেই যশোরে ক্রীড়াঙ্গনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তাঁকে এখানে যুক্ত করায় আরও নাজুক হয়ে পড়বে।’
সাবেক ক্রিকেটর মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, ‘এটা ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের অংশ। যাদের হাত ধরে যশোরের ক্রীড়াঙ্গন ধ্বংস হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে এনে খুব অন্যায় করা হয়েছে। আমরা যশোরবাসী এই সিদ্ধান্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। অবিলম্বে কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে। অন্যথায় আমরা বৃহৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে বাদ দিতে বাধ্য করব।’
যশোরের জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে, কোন মাধ্যমে কাজী এনামকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে বিষয় বিন্দুমাত্র আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।’