গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় মুমিন গাজী (২৬) নামের এক গ্রাম পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মুমিন গাজী বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ হিরণ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগকারী মুমিন গাজী হিরণ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ এবং বর্ষাপাড়া গ্রামের মো. মুজিবর গাজীর ছেলে।
জানা গেছে, হিরণ ইউনিয়নের মৃত আবুল বশার মোল্লার ছেলে হৃদয় হক রাব্বি (২৮) প্রায়ই বর্ষাপাড়া গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিক্রি করতে যান। কিছুদিন আগে রাব্বি বর্ষাপাড়া গ্রামে মাদক বিক্রি করতে গেলে গ্রাম পুলিশ মুমিন গাজী স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাতে বাধা দেন। এতে রাব্বি ক্ষিপ্ত হন।
গ্রাম পুলিশ মুমিন গাজী বলেন, ‘হৃদয় হক রাব্বি প্রায়ই মাদক বিক্রির জন্য আমাদের বর্ষাপাড়া গ্রামে আসে। কিছুদিন আগে তাকে মাদক বিক্রির সময় আমি লোকজন নিয়ে বাধা দিই। এই ঘটনার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) আমি পরিষদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় রাব্বি তার চাচাতো ভাই সৌদিপ্রবাসী মশিউর মোল্লাকে নিয়ে দক্ষিণ হিরণ ব্রিজের ওপর বসে আমাকে মারধর করে।’
এ বিষয়ে জানতে হৃদয় হক রাব্বির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার চাচা জাবেদ মোল্লা মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বর্ষাপাড়া গ্রামে আমার ভাতিজা রাব্বি একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করার জন্য গিয়েছিল। গ্রাম পুলিশ মুমিন সেই বিয়ে ভেঙে দেওয়ায় রাব্বি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দু-একটি চড়থাপ্পড় দিয়েছে। বিষয়টি আমরা সামাজিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি।’
গ্রাম পুলিশ মুমিন গাজীর অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-আমিন বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’