বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বাবুল হোসেনের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাবুলের আইনজীবী সোহাইল জামিল আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার বলেন, ‘পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের অন্যতম নেতা বাবুল হোসেনের মামলার শুনানিতে তাঁর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও সোহাইল জামিল সরকার। আইনজীবীরা জামিন চাইলে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।’
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর রাতে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা এলাকার চান্দনা চৌরাস্তা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেওয়া হলে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। ২০ ডিসেম্বর ২৪ ঘণ্টা রিমান্ড শেষে বাবুল হোসেনকে কারাগারে পাঠান আদালত।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার বলেন, ‘যে সময় গাড়িটি পোড়ানো হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবুল সে সময় সে গাজীপুরেই ছিলেন না। আমাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন থামিয়ে দিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বাবুল হোসেন এজাহারভুক্ত আসামি নন। ঘটনার ১৪ দিন পর তাঁকে সন্দেহবশত গ্রেপ্তার করে বাসন থানা। পুলিশের প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে যে বাবুল হোসেন আশুলিয়ার ভাদাইল গ্রামে টেইলারিং দোকানে কাজ করেন। ৩০ অক্টোবরের ঘটনায় তিনি কীভাবে যুক্ত তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাবুল হোসেনের জামিনের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করব।’