গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি টেক্সটাইল কারখানার মালামাল নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ছাত্রনেতার নাম ইসহাক রুহুল্লাহ (২৭)। তিনি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার মুন্সিকান্দি গ্রামের খলিল সরকারের ছেলে। ইসহাক টঙ্গীর আউচপাড়া এলাকার জনৈক ইউসুফ সরকারের ভাড়া বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বাস করতেন।
ইসহাক বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গাজীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার সদস্য।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব হালিম মোল্লা ও গাজীপুর মহানগরের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কাজীর পক্ষের প্রায় তিন শ সমর্থক টঙ্গীর গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড নামের কারখানার বর্জিত মালামাল নামাতে কারখানাটির সামনে আসেন। কিছুক্ষণ পর ট্রাকবোঝাই করে কারখানার ঝুটসহ বর্জিত মালামাল নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন হালিম মোল্লার লোকজন।
এতে বাধা দেন হুমায়ুন কাজীর লোকজন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
পরে ওই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়।
মামলার পর ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও ককটেল বিস্ফোরণে ইসহাকের জড়িত থাকার অভিযোগে আজ তাঁকে টঙ্গীর নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকেই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।