গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদের ওপর বেইলি সেতু স্থাপনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে আবদুল্লাহপুর ও টঙ্গী বাজারের কয়েক হাজার ব্যবসায়ী অংশ নেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম কিরণ, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম খান কালা, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার, জসিম উদ্দিন দেওয়ান, বি এম শামীম, ইসমাইল হোসেন, তারেক হোসেন, নুর মিয়া, মকবুল হোসেন, টঙ্গী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
ব্যবসায়ীরা জানান, তুরাগ নদের ওপর থাকা তিনটি বেইলি সেতুর মধ্যে কয়েক মাস আগে একটি সেতু ভেঙে যায়। বিআরটির পক্ষ থেকে একটি সেতু অপসারণ করা হচ্ছে। আর অপর একটি সেতু দিয়ে লাখো মানুষের যাতায়াত। টঙ্গী বাজার এই এলাকার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালপত্র কিনতে প্রতিনিয়ত লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়। বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসড়কে যান চলাচল চালু হওয়ার পর ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মহাসড়কের পশ্চিম পাশে থাকা নদের ওপর বেইলি সেতুটি অপসারণ করছে বিআরটি কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা-বিক্রেতারা। বেইলি সেতুটি সরিয়ে ফেলা হলে টঙ্গী বাজার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম কিরণ বলেন, ‘টঙ্গী বাজারে ২৫ হাজারের বেশি ব্যবসায়ীর দোকান রয়েছে। প্রায় ১০০ বছর আগে তুরাগ নদের তীরে এ বাজার গড়ে ওঠে। বেইলি সেতুটি সরিয়ে ফেলা হলে বাজারে ক্রেতারা আসতে পারবেন না। আমরা প্রথমে সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলীকে অবগত করেছিলাম। তিনি আমাদের ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট (ডিবিআরটি) প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে যেতে বলেন। সেখানে গিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।’