গাজীপুর সদরে ওমেদ আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম করেছেন তাঁর শ্যালক ও শ্যালকের ছেলে। গতকাল রোববার বিকেলে মহানগরীর সদর মেট্রো থানার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নাগা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাঁকে কোপানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় বৃদ্ধের মেয়ে ওহিদা খাতুন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগর সদর মেট্রো থানায় বৃদ্ধের শ্যালক আব্দুস সাহিদ, তাঁর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও ছেলে সাদ্দাম হোসেনের নামে মামলা করেছেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওমেদ আলীকে একটি পতিত জমিতে ফেলে সাদিক পেটাচ্ছেন এবং তাঁর ছেলে সাদ্দাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন নারী চিৎকার করেন। কিন্তু আশপাশের কেউ বাধা দিতে বা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।
বৃদ্ধের মেয়ে ওহিদা খাতুন বলেন, ‘বাবা বাড়িসংলগ্ন মসজিদের পাশে ছোট ঘর তুলে থাকেন। আশপাশে বিভিন্ন সবজি লাগিয়ে তিনি সংসার চালান। বিভিন্ন সময় মামার গরু ওই শাকসবজি খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে বাবা সতর্ক করার পরও মামা শোনেননি। বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বাবা মসজিদের পাশে বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় মামা ও মামাতো ভাই সাদ্দাম হোসেন বাবাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দ্রুত বাবাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।’
ওহিদা খাতুন আরও বলেন, ‘বাবাকে কোপানোর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নিজের হাত কেটে সাহিদও হাসপাতালে ভর্তি হয়। এখন পুলিশ পাহারায় রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সাহিদ। পরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, ‘আমাকেও তিনি পিটিয়েছেন। আমার স্ত্রীকেও মারধর করেছেন। পরে আমার ছেলে রেগে গিয়ে তাঁর ওপর আক্রমণ করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি দেখেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হাসপাতালে আহত বৃদ্ধ ওমেদ আলীকে দেখেছি। তিনি ও আসামি শ্যালক-দুলাভাই। মামলার আসামি সাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’