শিল্পাঞ্চল খ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। নদীটির কারণে বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে এই অঞ্চলে। কিন্তু গোসিংগা ও দরদরিয়া অংশে সেতু না থাকায় দুই উপজেলার কয়েক ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ আজও নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হচ্ছেন।
শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ও কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী একটি সেতু বদলে দিতে পারে দুই পাড়ের মানুষের মেলবন্ধন। এতে করে উভয় পাড়ের কৃষি অর্থনীতিসহ সব বিষয়ের উন্নয়ন হবে। স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর ধরে সেতু নির্মাণের আশ্বাস পেলেও বাস্তবায়ন করেনি কেউ। ফলে কয়েক লাখ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, নদীর পশ্চিম পাড়ে শ্রীপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ পথে চলাচল করে দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে থাকেন। এ ছাড়া শ্রীপুরের শিল্প–কারখানাগুলোয় কাপাসিয়া উপজেলার হাজার হাজার নারী-পুরুষ চাকরির সুবাদে যাতায়াত করেন এ পথে। এ নদীতে গোসিংগা–দরদরিয়া অংশে সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাইগ্গা গ্রামের মোটরসাইকেলচালক মো. আশরাফুল বলেন, ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে পাড়ি দিতে হয়। অনেক কষ্ট করে নদীর তীর থেকে ওপরে উঠতে হয়।
স্কুলশিক্ষক মো. মাসুদ হোসেন জানান, তিনি শ্রীপুরে আবেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে হয়। মাত্র দুটি নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। এ জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়। গোসিংগা খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. মুছা মোড়ল জানান, এ পথ দিয়ে প্রতিদিন দুই হাজারের মতো নারী-পুরুষ যাতায়াত করে থাকেন। বিভিন্ন আচার–অনুষ্ঠানে এ সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকবার মাটি পরীক্ষা করতে দেখা যায়। সেতু নির্মাণ হলে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি দূর হবে।
রায়েদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল হাকিম মোল্লা হীরণ বলেন, ‘এক মাস আগে এলজিইডি গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কাপাসিয়া উপজেলার প্রকৌশলী এসে সেতুর মাপ নিয়ে গেছেন। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতু নির্মাণ হবে।’
স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) গাজীপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বারেক বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মাটি পরীক্ষাসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।