হোম > সারা দেশ > গাজীপুর

স্মার্টফোনের জন্য সহপাঠীকে গলাকেটে হত্যাচেষ্টা, তিন শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি

এক সহপাঠীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয় চার সহপাঠী। এরপর ঘটনা জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায় তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে তারা। গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর মারা গেছে ভেবে পালিয়ে যায় তারা। কিন্তু পরে স্থানীয়রা গুরুতর শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। 

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আহত শিক্ষার্থীর নাম মোহাইমিনুল ইসলাম মাহি (১৪)। সে গাজীপুর মহানগরের পশ্চিম চত্বর (স্কুলগেট) এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো. মহসিন মিয়ার ছেলে। গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র জোবায়ের রহমান আলভী (১৫), তাইফ ইবনে মোফাসাল (১৫) এবং গাজীপুর আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র হৃদয় (১৫)। এ ঘটনায় গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণির অভিযুক্ত অপর ছাত্র তারেক আজিজ (১৫) পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে এজাহার নামীয় প্রধান আসামি জোবায়ের রহমান আলভী (১৫) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। 

ওসি রাফিউর করিম আরও জানান, কয়েক দিন আগে মোহাইমিনুল ইসলাম মাহির একটি স্মার্টফোন ফোন হারিয়ে যায়। গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় মাহির তিন সহপাঠী জোবায়ের রহমান আলভি, তাইফ ইবনে মোফাসাল এবং তারেক আজিজ হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনের সন্ধান দেবে বলে মাহিকে বাসা থেকে ডেকে নেয়। পরে তারা মাহিকে একটি অটোরিকশায় তুলে গাজীপুর মহানগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মারিয়ালী কলাবাগান পাগলার মাঠ নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল গ্রেপ্তারকৃতদের সহযোগী গাজীপুর আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র হৃদয় (১৫)। ওই মাঠে পৌঁছালে অন্য সহপাঠীরা সবাই মিলে মাহিরের সঙ্গে থাকা তাঁর স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়। 

স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেওয়ার পর সহপাঠীদের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়, মাহি বাসায় ফিরে স্মার্টফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রকাশ বলে দিতে পারে। এমন আশঙ্কায় তারা মাহিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে তাঁরা হত্যার উদ্দেশ্যে মাহিকে ধরে মারিয়ালী কলাবাগান বীথিকা আবাসিক প্রকল্পের নির্মাণাধীন একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাহির গলায় আঘাত করে। হত্যা নিশ্চিত ভেবে তাঁকে ফেলে রেখে সহপাঠীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর স্থানীয় কয়েক যুবক ওই ভবনে গিয়ে মাহিকে অজ্ঞান ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাহি বর্তমানে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। 

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৫ জুন) মাহির মা ফারিজা আখতার বাদী হয়ে জিএমপি সদর মেট্রো থানায় ৪ শিক্ষার্থীর নামে মামলা দায়ের করেছেন। 
 
সৈয়দ রাফিউর করিম আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। একজন বৃহস্পতিবার স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল মারা গেছেন

গাজীপুরে ২ বিদেশি পিস্তল ও ২৪টি গুলিসহ ‘মিয়া কসাই’ গ্রেপ্তার

লাউ চাষেই স্বপ্নপূরণ, দম্পতির মুখে সাফল্যের হাসি

‎হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা: কুড়িগ্রাম থেকে অভিযুক্ত স্বামী গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে ফোন, ‘এসে মেয়ের লাশ নিয়ে যান’

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ নিহত ৩

শ্রীপুরে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে জাসাস নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

টঙ্গীতে পোশাক কারখানার অর্ধশতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ