গাইবান্ধার বরেণ্য কবি সরোজ দেবের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দের আয়োজনে গাইবান্ধা শহরে ডিবি রোডে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
এর আগে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে কবি সরোজ দেব শহরের পূর্বপাড়ায় নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা করেন শহরের মাদক কারবারি সাজ্জাদ হোসেন ও তাঁর দলবল। এ ঘটনায় গত শক্রবার রাতে কবি সরোজ দেব থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে সদর থানা-পুলিশ শহর থেকে সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা শহরের পূর্বপাড়ায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন কবি সরোজ দেব। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সবুজ পাড়ার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ও তার দলবল অস্ত্রসহ বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছেলে শুভময় দেব জয়কে খুঁজতে থাকে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় সরোজ দেব নিষেধ করলে তাঁর ওপর সন্ত্রাসীরা চড়াও হয় ও তাঁকে মারধর করতে থাকে। তাঁকে বাঁচাতে তাঁর পুত্রবধূ এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও সন্ত্রাসীরা আক্রমণ চালায়। পরে তাঁকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে মানববন্ধন করেন মানববন্ধনে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন সাহিত্যিক অধ্যাপক মাজহার-উল-মান্নান, সংগীতজ্ঞ মশিউর রহমান, ওয়াজিউর রহমান রাফেল, প্রমতোষ সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকসুদার রহমান শাহান, অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, দেবাশীষ দাশ দেবু, নওশের আলমসহ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা কবি সরোজ দেবের জীবনের নিরাপত্তা বিধান, সকল আসামি গ্রেপ্তার ও তাদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে নিজের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী কবি সরোজ দেব। তাঁর বক্তব্যের সময় এক আবেগ ঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তিনি নিজেও তাঁর ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।
এ বিষয়ে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদার রহমান বলেন, কবি সরোজ দেবের ওপর হামলাকরীকে গত শনিবার রাতে শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।