অভিযানের আগে উচ্চবংশীয় গরু ও দেশের সর্বোচ্চ দামের ছাগলকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা সাদিক অ্যাগ্রোর অধিকাংশ গরুই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঘোষিত সময় অনুযায়ী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিংয়ে রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে গড়ে ওঠা এই খামারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
গতকাল বুধবার রাতে ডিএনসিসি থেকে জানানো হয়েছিল, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় খামারটি উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত সাদিক এগ্রোর সামনে সিটি করপোরেশনের কোনো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উচ্ছেদের খবরে বুধবার রাতেই খামারের বেশির ভাগ গরু অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।কয়েকটি গরু খামারে দেখা গেলেও কোটি টাকার বংশীয় ব্রাহমা গরুটি দেখা যায়নি। তবে খামারের একটি খাঁচায় ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ব্রিটল জাতের ছাগলটি রয়েছে। ছাগলটি ঘিরে গণমাধ্যমকর্মীরা ভিডিও, ছবি ও লাইভের কাজ সারছেন।
খামারের কর্মী স্বপন আহমেদ বলেন, ব্রাহমা জাতের গরুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোথায় সরানো হয়েছে তাঁরা জানেন না।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডিএনসিসির নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে উচ্ছেদ পরিচালনা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ছাগলকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই।’
বুধবার রাতে ডিএনসিসি থেকে জানানো হয়েছিল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের ভূমিতে সাদিক অ্যাগ্রো লিমিটেড কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাকাব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসানের এই অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, কোরবানির ঈদের আগে ১ কোটি টাকা মূল্যের গরু ও ১৫ লাখ টাকায় ছাগল বিক্রি করে বিতর্কিত হয় সাদিক অ্যাগ্রো। ইমরান হোসেন খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।