জাপানি বংশোদ্ভূত দুই শিশুকে মা নাকানো এরিকোর জিম্মায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান এই আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় মা নাকানো এরিকো বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফ অনুপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে তিনি আপিল করার কথা জানান।
খুদে বার্তায় ইমরান শরীফ বলেন, ‘অবশ্যই আপিল করব।’ তবে কবে আপিল করা হবে, এর উত্তর দেননি তিনি।
এর আগে, ২২ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। ওই দিন মা এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আর বাবা ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার।
উভয় পক্ষই আদালতে দুই সন্তানের অভিভাবকত্ব দাবি করে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন। জাপানি মা এরিকোর পক্ষে তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘দুই সন্তানের বাবা ইমরান শরীফ জাপানে বসবাস করেন। তিনি এরিকোকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। ১০ বছর সংসার করেন। দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার একপর্যায়ে ডিভোর্স হয়। এরপর ইমরান শরীফ জাপানে পারিবারিক আদালতে মামলা করেন। তিনি এক মেয়েকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান। সেখানকার পারিবারিক আদালত তাঁকে অনুমতি দেননি। এরপর একদিন বাচ্চারা স্কুল থেকে ফেরার সময় তিনি দুই সন্তানকে অপহরণ করেন। তাদের নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।’
ইমরানের আইনজীবী বলেন, জাপানের প্রথা অনুযায়ী যদি মা অথবা বাবা জাপানি না হয়ে ভিনদেশি হন, তাঁদের সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষা এবং ভালো কর্মসংস্থান থেকে দূরে রাখা হয়। সেখানে এই দুই শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বলে কিছু হবে না। কাজেই বাবার কাছে তাঁরা নিরাপদ থাকবে বলে দাবি করেন আইনজীবী।