মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বউ-ছেলে মিলে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী ২২ অক্টোবর সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিহত লক্ষ্মী রাজবংশীর বড় ছেলে রঞ্জিত রাজবংশী, তাঁর বউ পার্বতী রানী রাজবংশী ও নাতি পিয়াস রাজবংশী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুল ইসলাম।
এর আগে গত সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব বটতলা এলাকায় বাড়ির সামনের ডোবা থেকে ওই বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
হত্যা মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বলেন, ‘রোববার রাত ১টার দিকে মায়ের ঘরে গিয়ে তাঁকে না পেয়ে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পাইনি। সকালে দেখি বাড়ির সামনের ডোবায় মায়ের লাশ ভেসে আছে। আমার মা প্যারালাইজড রোগী ছিলেন। ওই ডোবায় গেলেন কীভাবে? আমার মাকে ওরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার মা হত্যার বিচার চাই।’
এলাকার বাসিন্দা লিমন কাজী বলেন, ‘লক্ষ্মী রাজবংশী পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইজড অবস্থায় ছিলেন। তাঁর হাঁটার সক্ষমতা ছিল না। তাই তিনি কীভাবে ডোবার কাছে গেলেন, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
নিহত ব্যক্তির বড় মেয়ে কামনা রাজবংশী বলেন, ‘আমার মা দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ছিলেন। আমার তিন ভাইয়ের কেউ মায়ের ভরণপোষণ করত না, তাই আমি মাকে নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু আট দিন আগে বড় ভাই রঞ্জিত এসে মাকে নিয়ে যায়। আমার মা তো এমনিই মরা, তবু ওরা আমার মাকে মেরে ফেলল। আমি এর বিচার চাই।’
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ২২ অক্টোবর নিহত ব্যক্তির ছোট ছেলে ঝন্টু রাজবংশী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।