ঢাকা: আজ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের সীমিত লকডাউন। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। ফলে সকাল থেকেই অফিসগামী সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অল্পসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা–ভ্যানে যাত্রী পরিবহনে নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া। রাজধানীর কোথাও চলতে দেখা যায়নি গণপরিবহন।
রাজধানীতে সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে রামপুরা-মালিবাগ রোডে গণপরিবহন না থাকলেও রিকশা–ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্যের কারণে দেখা দিয়েছে যানজট। রামপুরা ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, সকাল থেকেই এই রোডে যানজট লেগে আছে। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। লকডাউন হলেও সাধারণ মানুষ আগের মতো বাইরে এসেছেন।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অফিসগামী যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এতে বেড়েছে দুর্ভোগ। রামপুরা বাস স্ট্যান্ডে বেসরকারি চাকরিজীবী জিয়াউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'এটা কিসের লকডাউন। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা, গণপরিবহন বন্ধ থাকলে মানুষ যাবে কীভাবে? যদি লকডাউন দিতে হয় সবকিছু বন্ধ করে দেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করা ছাড়া আর কিছু না।'
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিকশাচালক কলিম উদ্দিন বলেন, 'বেশি ভাড়া নিতেছি না, যা ভাড়া তাই চাইতেছি। একজন যাত্রী রামপুরা থেকে মতিঝিল যাইব তারে তো আমি ৫০ টাকায় নিয়ে যাইতে পারুম না। যেটা ন্যায্য তাই নিতেছি।'
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে শুরু হয়েছে সীমিত আকারে লকডাউন। আগামী বৃহস্পতিবার ১ জুলাই থেকে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হবে। লকডাউনের ফলে সারা দেশে বাসা, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।