হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আজ সরস্বতী পূজা, ঢাবির জগন্নাথ হলে ৭৪ মণ্ডপ

ঢাবি সংবাদদাতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে মোট ৭৪টি মণ্ডপে এবার সরস্বতী পূজা পালন হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আজ। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনার পুরোদস্তুর আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে। হল প্রশাসন এবং বিভিন্ন বিভাগ ইনস্টিটিউটের মোট ৭৪টি মণ্ডপে এবার পূজা পালন হচ্ছে। গতকাল রোববার মধ্যরাতেও দেবীর মূর্তি স্থাপন ও পূজার নানা কর্মযজ্ঞ দেখা যায় হলের উপাসনালয় এবং মাঠে। এই কর্মযজ্ঞ চলে রাতভর।

মধ্যরাতে সরেজমিন দেখা যায়, পুরো মাঠের চারপাশে পূজামণ্ডপ বসিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট। মোট ৭৪টি মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে জগন্নাথ হলের মাঠে। অধিকাংশ পূজামণ্ডপের কাজই প্রায় শেষ। কিছু পূজামণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। রাতের মধ্যেই মণ্ডপের কাজ শেষ করার তাড়া সবার। হল প্রশাসনেরও নির্দেশ রাতের মধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। তবে কারও কারও কাজ শেষ হতে সকাল পর্যন্ত লাগতে পারে, সেটিও হল প্রশাসনের বিবেচনায় রয়েছে।

জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক দেবাশীষ পাল বলেন, ‘এ বছর জগন্নাথ হলের পক্ষ থেকে একটি, বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে ৭২টি এবং জগন্নাথ হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মণ্ডপ বসানো হয়েছে। মোট ৭৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবার। মণ্ডপের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে প্রত্যেক বিভাগ-ইনস্টিটিউটের পূজা কমিটির উপস্থিতিতে লটারির মাধ্যমে। পূজার সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে হল প্রশাসনের মোট ১১টি উপকমিটি কাজ করছে।’

জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে সবার অংশগ্রহণের এই পূজা সম্প্রীতির ভিত মজবুত করবে বলে আশাবাদী প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল। তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, এটি শুধু রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় আয়োজন না, সরস্বতী পূজায় পৃথিবীর অন্য কোথাও একসঙ্গে এত মণ্ডপে পূজা হয় না।’

নতুন বাংলাদেশের এই আয়োজন নতুন আঙ্গিকে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গত জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ার এক মহান প্রত্যয় গ্রহণ করেছি। এবারের সরস্বতী পূজা তাই এক ভিন্ন আঙ্গিকে উদ্‌যাপন হতে চলেছে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে দুই দিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রক্তদান কর্মসূচি রয়েছে।’

এ ছাড়া হলের অভ্যন্তরে দর্শনার্থী শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদন উপযোগী বেশ কিছু রাইড, খেলনা ও বিশুদ্ধ খাবার দোকানের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। আগত পুণ্যার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে।

পূজার সার্বিক আয়োজনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে জানিয়ে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক দেবাশীষ পাল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন সার্বক্ষণিক ও কার্যকর তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে জগন্নাথ হল প্রশাসন হল উপাসনালয়ে তথা পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে সমগ্র হল প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় লোকবল ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাদের পাশে রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), শাহবাগ থানা, ফায়ার সার্ভিস, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সি।’

ঋণমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সিয়াম, নিভে গেলেন হাতবোমায়

হাদি হত্যা: আদালতে ঘটনার যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী সেই রিকশাচালক

নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ, আটক ২

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি, জমকালো আয়োজনে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত দুই

রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান নিহত

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে