নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ২২ জুন ডিবির পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দেন। তবে গতকাল বুধবার ওই আদালতে বিমানবন্দর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মামলা করা হয়। ডিবি পুলিশের ওপর এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পড়ে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ডিবি পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রশ্নপত্র যাঁদের হেফাজতে থাকার কথা তাঁরাই বিভিন্নভাবে তা ফাঁস করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে বিমানের ২৬ জন কর্মকর্তা- কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগপত্রে যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন–বাংলাদেশ বিমানের নিরাপত্তা বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ার, মটর ট্রান্সপোর্ট (এমটি) অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মাহবুব আলী, মহাসিন আলী মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন, নজরুল ইসলাম, সাবেক এমটি অপারেটর আওলাদ হোসেন, মাহবুব আলম শরীফ, এমএলএসএস আল আমিন, আব্দুল মালেক, আব্দুল্লাহ শেখ, সাজ্জাদুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, ফিরোজ আলম, তাপস কুমার মণ্ডল, সুলতান হোসেন, মুরাদ শেখ ওরফে মুস্তাফিজুর রহমান, চালক ফারুক হোসেন, জুয়েল মিয়া, রাজীব মোল্লা, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, এমটি অপারেটর এনামুল হক, এমএলএসএস হারুন অর রশিদ, এমটি অপারেটর মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, এমএলএসএস জাকির হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।