জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্য দেন তাঁরা।
যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁরা হলেন সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুল মান্নান ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী মো. হামিদুর রহমান। এদিন ইতিপূর্বে সাক্ষ্য প্রদানকারী এ মতিন অ্যান্ড কোম্পানির চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এ কে আব্দুল মতিন তাঁর বাকি জবানবন্দিও প্রদান করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মোশারফ হোসেন কাজলের সহযোগী ফয়েজ আহমেদ সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এ পর্যন্ত এই মামলায় ৪১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তারেক ও জোবাইদা পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারছেন না।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক ড. মো. জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান এবং তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়িকে মামলা থেকে হাইকোর্ট অব্যাহতি দেন।