হোম > সারা দেশ > ঢাকা

জি কে শামীম ও তাঁর ৭ দেহরক্ষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীম ও তাঁর সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সালাউদ্দিন হাওলাদার ও সাবিনা আক্তার দীপা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রায় ঘোষণার আগে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে আবার সাজা পরোয়ানাসহ আসামিদের কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়। আদালত রায়ে বলেছেন, সাজা প্রাপ্ত আসামিদের ইতিমধ্যে কারাগারে থাকার সময় সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।

এর আগে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ২৮ আগস্ট আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সাত দেহরক্ষীসহ গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে তিনটি মামলা হয়। মামলার এজাহারে শামীমকে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ মাদক ও জুয়ার ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করা হয়।

একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১-এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন।

২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়েছেন মর্মে ডকুমেন্ট দেখালেও তা যাচাইয়ে এর সঠিকতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে ওই অস্ত্রের নকল কাগজপত্র নিয়ে ২০১৭ সালে প্রথমে এসএম বিল্ডার্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। পরে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি আসামি জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে যোগদান করে কাজ করে আসছিলেন। তিনি মূলত অবৈধ অস্ত্রটি ৭০ হাজার টাকায় কিনে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করেন।

এ ছাড়া অন্যান্য আসামি নিরাপত্তার অযুহাতে অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসা করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।

শামীম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। প্রাইমারি স্কুল ও হাইস্কুল পাস করার পর শামীম ঢাকার বাসাবো আর সবুজবাগ এলাকায় বেড়ে ওঠেন। ক্ষমতার দাপট ছিল আকাশসমান। সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে তিনি ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি। বাংলাদেশের সব ঠিকাদারকে গণপূর্তে কাজ করতে হলে তাঁকে বলে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সব ঠিকাদার তাঁর বাইরে ভয়ে কথা বলার সাহস পেতেন না।

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন