রাজধানীর উত্তরায় দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, আজ সোমবার দুপুরে বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজেআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিমানটি মাইলস্টোন কলেজের হায়দার আলী ভবনের প্রধান ফটকে আছড়ে পড়ে এবং নিচতলায় ভবনটির এক পাশ দিয়ে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোতলা হায়দার আলী ভবনটি পশ্চিমমুখী। ভবনটির মাঝখানে প্রধান ফটক এবং দোতলায় ওঠার সিঁড়ি। বিমানটি সোজা ফটকে আছড়ে পড়ে ভবনটিকে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও সেনাসদস্যরা বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে বিমানটির বিভিন্ন অংশ কেটে বের করছেন।
ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, ভবনটির প্রধান ফটকে সব সময় স্কুল স্টাফরা বসে থাকেন, সিঁড়ির নিচে স্টাফদের কক্ষ রয়েছে। বিমানটি প্রধান ফটক ভেঙে কক্ষের ভেতরে ঢুকে যায়।
মাইলস্টোন স্কুলের মাঠে ও প্রধান ফটকের সামনে অসংখ্য অভিভাবক তাঁদের শিক্ষার্থী ও স্বজনদের খুঁজতে এসেছেন। রিপন নামের এক ব্যক্তি আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর ভাগনে স্কুলটির ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ক্লাস শেষে তারা বের হওয়ার অপেক্ষায় ছিল—এমন সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা লাকি আক্তার নামের এক নারী বলেন, তাঁর দুই সন্তান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ে। এখন পর্যন্ত তাঁর বড় ছেলেকে বের করতে পারলেও ছোট ছেলে এখনো নিখোঁজ।
এদিকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, বিজিবি, রেড ক্রিসেন্ট, উত্তরার বিভিন্ন থানা-পুলিশ। স্বেচ্ছাসেবীরাও কাজ করছেন।
আজ বেলা ৩টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশবাহী ব্যাগে করে একটি মরদেহ বের করতে দেখা যায়। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক আহত ব্যক্তিদের রাজধানীর চারটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সিএমএইচ।